Sunday 22 December 2013

সুদিন

আমরা হয়তো আছি একটু
সবার চেয়ে ভালো
সন্ধ্যারাতে জ্বলে ওই
ল্যাম্পপোষ্টের আলো।
দূর আকাশে চেয়ে দেখো
তারা ঝিলিমিলি
স্বপ্ন, স্বপ্ন, স্বপ্ন ওড়ে
আকাশ স্বপ্নপুরী।


আমরা হয়তো আছি যে
এই শহরে ভালো
জ্যাম ঠেলে এগিয়ে চলে
হেডলাইটের আলো।
ক্লান্তি নিয়ে চেয়ে দেখো
জ্বলছে চাঁদের আলো
স্বপ্ন, স্বপ্ন, স্বপ্ন থাকে
জোছনায় ভালো।


আমরা হয়তো আছি হয়ে
স্বপ্নভাঙ্গা কারো
দু'চোখ বয়ে গলে পড়া
নোনতা জলের অক্সি কিংবা হাইড্রো।
ঝাপসা চোখেই চেয়ে দেখো
বাড়ছে রাতের আয়ু
পাশিপাশি আশা ভাঙ্গি
প্রতিকূল জলবায়ু।


১০.১২.১৩
উত্তরা, ঢাকা। 

Tuesday 10 December 2013

ড্রাফট লেটার

৯)

এ কার চোখ?
আমি এ চোখে স্বপ্ন দেখিনি।
এ চোখ ধূলোঝড়ে আঘাত পায়নি,
মিথ্যেবাদী তোমার জন্যে-
এ চোখ আহত দৃষ্টিতে চেয়ে থাকেনি।

তবে এ কার চোখে
আমি আবারো নিঃসঙ্গ তোমায় দেখছি?

১০.১২.১৩

Thursday 4 July 2013

খামখেয়ালীপনা

আমি জানতাম একদিন মেঘ হবে
আকাশ ডাকবে
বৃষ্টি ঝরবে
তবু ইচ্ছে করে ছাতা সঙ্গে নেইনি
জানি বৃষ্টি ভেঁজা তোর একদমই পছন্দ নয়।

আমি জানতাম অনেক কিছু লিখতে হবে
পাতা ভরাতে হবে
কষ্ট ঝরাতে হবে
তবু ইচ্ছে করেই এক্সট্রা পেন আনিনি
জানি 'না লেখা' কথা তুই বুঝে নিবি।

আমি জানতাম অনেকটা পথ হাঁটতে হবে
অনেক কথা হবে
পায়ে পায়ে
তবু প্রায়-ছেড়া জুতো নিয়েই বেরিয়েছি
জানি বাকীটা পথ বসেই কাঁটিয়ে দেয়া যাবে।

আমি জানতাম অনেকটা রাত জাগতে হবে
অনেক কথা হবে
তবু মুঠোফোনটার ব্যাটারী চার্জ করিনি
তবু তুই রাতভর জেগে থাকবি
জানতাম চার্জ ফুরোলেও তোর কথা শেষ হবে না।

আমি জানতাম একদিন সব ভেঙ্গে যাবে
ভেঙ্গে-চুরে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে
টুকরো টুকরো হয়ে অদৃশ্য অতীত হয়ে যাবে
তবু তুই-আমি কেউই ভুলে থাকতে পারবো না
জানি সম্পর্ক কখনো ঠুনকো হয় না।

২৪.৫.১৩

Saturday 4 May 2013

অভিমানপত্র

হাজারটা অভিযোগে অভিযুক্ত করতে পারি তোমায়
আসামী করে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে একটার পর একটা সাক্ষ্য দিতে পারি
মশাল মিছিলে আড়াল হওয়া অন্ধকারের মতো কেটে পড়া অভিমান ছড়িয়ে লাভ নেই
আড়ালেই থেকে যাবে সব লেনা-দেনা
আড়ালেই থাকবে যতো মিথ্যে স্বপ্নবোনা..

উড়ে যাওয়া ঘুম জুড়ে বসবে তোমার দু'চোখে
তবু কাছে পাবেনা নিশ্চিন্ত কিছু স্বপ্ন
স্বপ্ন দেখার আকুলতায় ব্যর্থ হবে,
স্বপ্ন বেচার অপবাদে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাবে তোমার চোখ
তবু আর স্বপ্ন দেখতে পাবেনা।

নির্ঘুম ক্লান্তির ভেলায় ভেসে যাওয়া রাতে অমবস্যা নামবে বারবার
চাঁদ-তারার অবিশ্বাস তোমায় একা রাখবে চিরকাল
চিরকাল অন্ধকারেই রয়ে যাবে
ওদের দারুণ অবাধ্যতায়!

০৪.০৫.১৩

Wednesday 27 March 2013

ড্রাফট লেটার

৮)

শুনলাম তুমি নাকি ইদানিং..
মাঝরাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকো?
ফুঁপিয়ে কাঁদো নাকি?
খুব একা লাগে?
পৃথিবীটা অচেনা গ্রহ মনে হয়?

না, আমিতো জানি অনেক কঠিন তুমি
আবেগ লুকোতে জানো
মিথ্যে হাসিতে প্রতিক্রিয়া লুকিয়ে রাখো
ক্লিন ইমেজের খাতিরে বিশ্বস্ত সঙ্গী ছাড়তে জানো..

তাহলে কিসের এতো একাকীত্ব,
কিসের এতো ভয়?
টুপ করে চোখের জল পড়ে যাবে বলে?!

চিন্তা করোনা,
রাঙ্গা চোখে এক পশলা বৃষ্টি পবিত্র করে দেবে তোমায়,
আমার বুকে জমে থাকা অভিমানের পাহাড় ধসে গুড়ো গুড়ো হয়ে যাবে
..অপেক্ষায় থাকলাম!

২৭.০৪.১৩

Sunday 24 March 2013

ড্রাফট লেটার

৬)


তারপরও একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন থেকে যায়
প্রশ্নের বিপরীতে তবু প্রশ্ন দাঁড় করাও..
তুমি ভাল করেই জানো
একটি প্রশ্নবোধক চিহ্নের উওর কখনো আরেকটি প্রশ্নবোধক চিহ্নে হয়না..
তবু তুমি অনিয়মের আশ্রয়ে লুকোচুরি খেল
আর আমি..
আমি থেকে যাই ঝুলন্ত..
দেদ্যুলমান!
হয়তোবা আমি আকাশে ভাসমান মাইন
দেখতে পাবেনা কার্টুনে আঁকা বিস্ফোরণের সাইন!

তারপরও একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন থেকে যায়
তবু তুমি প্রশ্নের বিপরীতে প্রশ্ন দাঁড় করাও
উত্তরের বৃথা আশা করিনা..
জানি আমার বিপরীতেই যাবে স্রোত
বোবা বাতাসেই ভাসাই ক্রোধ
আমাতেই আজ আসক্ত সব একাকীত্ববোধ!
০৮.১২.১২


৭)

মশারীর ছিদ্রে আর জ্বলন্ত কয়েলের শেষ কুন্ডলীতে
রক্তপিপাসু মশারা যেন গোলকীপারবিহীন ফাঁকা পোষ্ট পায়,
একটার পর একটা গোল দিয়ে বিপর্যস্ত করে ফেলে অরক্ষিত আমাকে
একটু একটু করে তাজা রক্ত নিয়ে উড়ে যায় তারা..

আর ওপারের গ্যালারীতে..
বিজয়ীর বেশে উল্লাসে ফেঁটে পড়া তোমাকে জড়িয়ে হাসতে থাকে তারা
পরাজিত আমি বারবার হেরে আর্তনাদ পাঠাই..
নির্লিপ্ত থেকে.. খু-উ-ব নীরবে!
০৩.০৩.১৩

Sunday 3 March 2013

কয়েদী হওয়ার আগের কবিতাগুলি


১)
বিশ্বাস করো..
এখনো কারো মায়ার ঝাঁপিতে বাঁধা পড়িনি
দুঃসাহসী হয়ে আঁধারের খোঁজে কারো পাত্রের খাবারের ফাঁদে আটকা পড়িনি..
বিশ্বাস করো!

ক্ষুধার্ত পথিকের বেশে ঘুরেছি কতো পথ
তবু আগ বাড়িয়ে যাইনি
বোকার মতো কারো ঝাঁপির আশেপাশে ভিড়াইনি..
বিশ্বাস করো!

বেওয়ারিশ হয়ে বেচেছি, তবু
কারো খোঁয়াডে রাত কাঁটাইনি..
বিশ্বাস করো.. বিশ্বাস!
 ১৩.০৭.১২

ড্রাফট লেটার


৪)
আমি
না হয় ভালোবাসার বহেমিয়ান হয়ে থাকলাম
ঘুরে ঘুরে সবাইকে একটু-আধটু ভালোবাসলাম
শুধুই এককেন্দ্রিক ভালোবাসায় কাউকে বেঁধে নয়
হাজারটা মানুষের মাঝে সুপ্ত নিরেট 'মায়া কান্না'টা কে জাগাতে চাই
আর চাই দু'চারদিনের অন্তহীন "ভালবাসি-ভালবাসি" বুলি টা না আউড়াতে
জীবনভর না হয় সবার "বেদন-কথন"-এর শ্রোতা হয়েই থাকলাম
কারো দুর্যোগের ঘনঘটা দেখে দৌড়ে আগলে নিলাম
শুনছো কি তুমি? আমি কি বললাম?!
১৬.০৬.১২

৫)
বিলুপ্ত বিরহে জল ঢেলে বিভীষিকা বাড়াও কেন তুমি?
জানোনা, কিছু জলে আগুন তেঁতে ওঠে।
আর কিছু কেরোসিন জ্বলন্ত আগুন নিভিয়ে দেয়!
০৩.০৩.১৩

Thursday 28 February 2013

ড্রাফট লেটার


১)

ভুল পথে চলেছি হেটে
ভুলের শেষ দেখবো বলে
পথ হারিয়ে বারেবার,
ভুলের মাঝে আসছি ফিরে।
২৯.০৪.১২


২)
অসীম আনন্দের ভীড়ে হঠাৎ খুঁজে পাই অতলে থাকা নিরান্দকে
হাজার বছর ধরে সাগরের নীলে ডুবে থাকা কোন নৌযানের খোঁজ পাওয়া ডুবুরীর অনুভূতি ভর করে আমাতে,
শত বছরের জীর্ণতায় জর্জরিত দেয়ালের গায়ে লেপ্টে থাকা শ্যাওলার মত তোমার স্মৃতিরা জড়িয়ে আছে
আমার মনের নীল আকাশটাকে এখনো মেঘলা করে দেয়
১৪.০৪.২০১২

৩)
বুঝতে পারি আমি সব অজুহাত
সময়ের ব্যবধানে অন্তরঙ্গতার এ-হাত ও-হাত
অপদার্থের মতো মেনে নিলে যায়না আমার জাত
নাটকের সমাপ্তি দেখবো –এ আমার স্বাদ!

বুঝতে পারি ব্যস্ততা তোমার
হাজার হোক খোঁজ নেয়াটাই পাপ
মুখে হাসি রেখে বলি
অপমান মেনে নিতে নেই কোন লাজ!
 ১৬.১২.২০১২