Tuesday 28 April 2015

যাচ্ছে না এড়ানো..

একদিন হুট করে ওপারে চলে যেতে হবে - এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কত দেখলাম, কতো আসলো অার কতো গেলো। যাবার আগে একবার ডেকে বলেনি, যাইরে.. ভালো থাকিস!

ভালো নেই বলবো না, ভালোই আছি। হুটহাট যেতে হবে তাই মৃত্যু চিন্তার বাড়াবাড়ি নেই। কুইন্সের এক খুনি ছেলের অনুশোচনা নিয়ে বানানো বহেমিয়ান রাপ্সোডি গানটা শুনছিলাম তানভীরের পাশে শুয়ে। হুট করে বুক দড়ফড় করে উঠলো, হাত-পা কাঁপছিলো। 'কাগু, আমার বুকে ব্যাথা বাড়ছে বোধহয় অাবার। কেমন যেন হাত-পাও কাঁপছে!'-বলে শেষ করার আগেই ও বললো, 'আরে আমার-ও তো!'

ভূমিকম্প হয়েছিলো আসলে। মুহুর্তেই নেপালে এতকিছু গুড়িয়ে গেলো, কতজন ওপারে চলে গেলো! সব জানতে পারলাম ঘন্টাখানেক পর। দেশটা নেপাল না হয়ে বাংলাদেশ হতে পারতো, কাঠমুন্ডু-পোখারা না হয়ে শহরগুলো ঢাকা-চট্টগ্রামও হতে পারতো। মৃত মানুষগুলো থাপা-প্যাটেল না হয়ে রহমান-হোসেনও হতে পারতো। হতে পারতো অনেক কিছুই, হয়নি এজন্য শুকরিয়া। হয়নি তাই ফেসবুকে সেইফটি চেকে সেইফ দেয়া নিয়ে অাবাল-পন্ডিত খেলা দেখছি, ভূমিকম্প নিয়ে কৌতুক দেখছি! স্রষ্টাও রসিক, রসিকদের মতো উপর থেকে হাসে। কিচ্ছু বলে না।

তবুও একে একে চলে যাচ্ছে অনেকে। সম্পর্ক চুকে বেঁচে আছে কেউ কেউ, আছে কষ্টের তীব্র যন্ত্রণা নিয়েই। তবে কিছু কিছু জিনিস থেকে যাচ্ছে চিরতরে।

অঞ্জনের ভাষাতেই বলিঃ
'যাচ্ছে না এড়ানো শেষ শুয়ে পড়াটা। যাচ্ছে না থামানো শেষ কাঁধে চড়াটা, যাচ্ছে না জাগানো শ্মশানের মরাটাকে। যাচ্ছে না তাই সে কোথাও।'

**প্রিয় নেপাল, শেষ বলে কিছু নেই। শেষ যেখানে, জেনো শুরু সেখানেই।জেগে উঠো হিমালয়কন্যা।**‪
#‎PrayForNepal ‪#‎SaveNepal


রাত ০২:১৮
২৭.০৪.২০১৫
উত্তরা, ঢাকা