প্রথমে তিনজন মানুষ সম্পর্কে সংক্ষেপে বলে নেই। NSU লাইফে ৯০% কোর্সেই আমার অ্যাসাইনম্যান্ট বা প্রজেক্টের গ্রুপে নাজিয়া গ্রুপ পার্টনার ছিলো। প্রায় প্রতি সেমিস্টারে বেশির ভাগ কোর্সই মিলিয়ে নেই যাতে অ্যাসাইমেন্ট বা প্রজেক্টের লেখার কাজগুলো ভাগ করে নেয়া যায়। ল্যাব রিপোর্ট লেখার কাজ সবসময়ই আমি এড়িয়ে যেতাম বিরক্তিকর মনে হতো দেখে আর আমার এই কাজটা নাজিয়া করে দিতো।
হাসিবুলের সাথে পরিচয়ের পর হাসিবুলও প্রায় সব কোর্সেই প্রজেক্ট বা গ্রুপ পার্টনার ছিলো। কাজের ব্যাপারে যথেষ্ট সাহায্য পরায়ন এবং সময়ের কাজ সময়ে করে আর আলসেমি করে না। গ্রুপের কেউ কোন কাজ না করলে তা করিয়ে নেয়ার ক্ষমতাও চমৎকার।
সাবেক ঘুমকুমার নাঈম রিদওয়ান আবীর হলো একজন অমায়িক মানুষ। যদিও আমার প্রতিবেশী তাও সে মাঝে মাঝে নিখোঁজ হয়ে যায়, কিন্তু কাজের অ্যাকুরেসি অনেক ভালো। মানুষকে যে কোন ব্যাপারে সারল্যের সাথে নিঃশর্ত সাহায্য করতে করতে তাকে আমার বন্ধুমহলের সবচে 'ইউজড্ পারসন' হতে দেখেছি। আবীর আর নাজিয়া হলো আমার প্রথম সেমিস্টার থেকেই সবচে কাছের ফ্রেন্ড, যাদের সাথে সবসময় এটা-ওটা নিয়ে গ্যাঞ্জাম লেগেই থাকে।
যাই হোক, মূল ঘটনায় আসি। ফাজি লজিকে যখন প্রথম ছয়জনের গ্রুপ ফর্ম হচ্ছিলো তখন আমি, হাসিব আর নাজিয়া একসাথে গ্রুপে থাকার কথা হয়। বাকী তিনজন আগেও পেপার পাবলিস করেছে, তাই তাদের সাথে নিতে চাওয়ায় আমরাও রাজী হয়ে যাই। কোর্সের শুরুতেই এভাবেই কথা ফাইনাল হয়। কোর্স রি-অ্যাডভাইজের পর আরো কয়েকজন কোর্সে অ্যাড হয়, যার মধ্যে আবীরও ছিলো। যাই হোক, যাদের সাথে করার কথা তাদের তিনজনের ক্লোজ ফ্রেন্ড আর আগের পেপারের গ্রুপমেট কোর্সটা রিঅ্যাডভাইজ করে নেওয়ায় আমরা ওদের অনুরোধ করার প্ল্যান করি যাতে তাদের পুরোনো পার্টনারকে নেয়, আমরা আবীরকে নিয়ে আরেকটা গ্রুপ করবো। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই পরিচিত একজন শ্রদ্ধেয় বড় ভাই (যিনি এর আগেও অনেক কোর্স আমাদের সাথে করেছেন) আমার কাছে এসে বললেন, 'জিটু তুমি নাজিয়াকে বা হাসিবকে বাদ দিয়ে ওই গ্রুপে থেকে যাও। বিশেষ করে বলছি, হাসিবকে বাদ দিলে ভালো হয়। ও কি পারে? কিচ্ছু তো করবে না!'
উল্লেখিত বিশিষ্ট বড় ভাইয়ের কথায় আমি আকাশ থেকে পড়লাম। আমাদের সম্পর্কে অবজ্ঞাসূচক ভাল রকমের কথাবার্তা বললেন। যাই হোক, কথা শেষ হওয়ার পর এ ব্যাপারে কিছু না জানিয়ে নিজেরাই গ্রুপ ফর্ম করলাম। কথা দিয়ে তো আর কথা ভঙ্গ করা ঠিক না, আর আমি এদের কথা দিয়ে অন্যগ্রুপেও যেতে পারি না। গ্রুপে ছিলাম আমি, হাসিব, নাজিয়া, আবীর আর সাথে সোনিয়া, ইভা। অবজ্ঞাটা খুব খারাপ লেগেছিলো, তাই বাকীদের বললাম কাজটা সিরিয়াসলি নিতে।
টপিক বেছে নেয়া থেকে শুরু করে প্রাথমিক সব কাজে হাসিব অন্য সবার চেয়ে অনেক বেশি পরিশ্রম করেছে। কাজ করতে গিয়ে সবচে বেশি কষ্ট হয় ডাটা কালেকশনে। বারডেমে টানা পাঁচদিন গিয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই অফিস ওই অফিস ঘুরে কোন লাভ হয়নি। শেষে বাধ্য হয়ে দুদিন সময় হাতে নিয়ে ফেনী গিয়ে ফেনী ডায়বেটিক হাসপাতাল থেকে ডাটা নিয়ে আসতে হয়েছে, সে কাজও প্রায় অসম্ভব ছিলো যদি না ডাক্তার বৈশাখী আপু আশাতিত ভাবে সাহায্য না করতো। সিস্টেম রেডী করতে গিয়ে যে অ্যালগরিদমে সাদা চোখে মনে হয়েছে কাজ হবে না তাও সেই কাজটা করে দেখেছি যাতে আমাদের কাজে কোন ছোটখাটো ভুল না থাকে। এজন্য হাসিব আর আবীর তো রীতিমত আঁটঘাঁট বেঁধে যুদ্ধে নেমে আমাকে পঁচাইছে। একদিন তো ডাটা ইনপুট করে চেক করার সময় কি এক ছোট্ট ভুলের জন্য স্টাডি হলে উত্তেজিত হয়ে টেবিল চাপড়ে হাসিব আর নাজিয়াকে কি কি যেন বলে মেজাজ খারাপ করে দিয়েছি। কাজের গুরুত্ব বুঝে আমার খারাপ ব্যবহারটা বড় করে দেখেনি তাই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আর আবীরকে তো অমানুষিক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে শেষ তিনদিন। সিস্টেমের ম্যাথমেটিক্যাল সব ক্যালকুলেশন বার বার করিয়েছি। একদিন সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুর ১টা পর্যন্ত চেয়ার থেকে উঠতে দেইনি বরং আমি আর হাসিব ওকে ঝাঁড়ি মারতে মারতে নিজেরাই মাঝে দুঘন্টা করে ঘুমিয়ে নিয়েছি।
পুরো ইমপ্লিমেন্টেড সিস্টেম সম্পর্কে পেপার একবার লিখে সেটা পুরোটা বাদ দিয়ে আবার নতুন করে লিখতে হয়েছে। তবে এতকিছুর পরও সবচে ভালো লেগেছে যখন ডঃ রাশেদ স্যার বললো তোমাদের কাজ খুব ভাল হয়েছে। স্যারকে অনেক জ্বালিয়েছি, এটা ওটা নিয়ে উনাকে মেইল করে আর অফিসে গিয়ে হেল্প চেয়ে। স্যারকেও ধন্যবাদ দিয়েও শেষ করা যাবে না তার অবদানের জন্য। অনেক উৎসাহ দিয়েছেন। সবচে অবাক হয়েছি যখন পেপার স্যারকে ফাইনালী জমা দেয়ার দু'সাপ্তাহ না যেতেই স্প্রিংগার কনফারেন্সের জন্য পেপার অ্যাকসেপ্টেড হওয়ায়। আসলে কেমন মানের পেপার সেখানে অ্যাকসেপ্টেড হয় সেটাও জানতাম না, স্যার যদি গুরুত্বটা না বোঝাতো। শ্রদ্ধেয় রাশেদ স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
সত্যি বলতে ভালো মানের পেপার লেখার ইচ্ছে ছিলো শুধু অবজ্ঞার জবাব দেয়ার জন্য। এমন ছোটখাটো রিসার্চ পেপার আসলে অহরহ অনেকেরই পাবলিস হয়। আমরা যে কজন কাজ করেছি হয়তো কেউই অত আহমরি স্টুডেন্ট না, তাই নাক সিঁটকানো টাইপের কথা বলে, খোঁচা মারা কথা শুনেও কিছু বলতে পারিনি। শুধু ফোকাস ধরে রেখে সিরিয়াসলি নিজেদের কাজটুকু করার চেষ্টা করেছি আর তাতে বোধকরি সফল হয়েছি। বোধকরি, এভাবে সব কোর্সে যদি প্রথম থেকে সিরিয়াসলি পড়তাম তাহলে অসাধারণ রেজাল্ট নিয়ে বের হতে পারতাম।
মূলকথা বলি, আমরা ডায়বেটিস নির্ণয় নিয়ে Fuzzy Logic ব্যবহার করে একটা সিস্টেম ইমপ্লিমেন্ট করেছিলাম। টাইটেল Application of Fuzzy Logic for Generating Interpretable Pattern for Diabetes Disease in Bangladesh. চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস বাটা ইউনিভার্সিটির উদ্দ্যোগে অনুষ্ঠিত 5th Computer Science On-line Conference 2016-তে আমাদের পেপারটা অ্যাকসেপ্টেড হয়। আজকে প্রেজেন্টেশন ছিলো। কিছুক্ষণ আগে Springer-এ আমাদের পেপারটা Artificial Intelligence Perspectives in Intelligent Systems সিরিজে পাবলিস হলো (লিংক প্রথম কমেন্টে)। যে কেউ চাইলে ২৯.৯৫ ইউ এস ডলারে কিনে নিতে পারেন!
এটা একটা সামান্য কাজ। এত বড় করে বলার কোন ইচ্ছে ছিলো না, আর আজকের পর কখনোই এই নিয়ে কথা বলবো না। তবে অবজ্ঞার একটা ছোট্ট জবাব দেয়ার ছিলো। ধন্যবাদ সেই মানুষকে যিনি আমাদের অবজ্ঞাসূচক কথাবার্তা বলে উৎসাহ দিয়েছেন। অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ তাকে। এমন লাইফ লেসন কয়জন দিতে পারে? !
হাসিবুলের সাথে পরিচয়ের পর হাসিবুলও প্রায় সব কোর্সেই প্রজেক্ট বা গ্রুপ পার্টনার ছিলো। কাজের ব্যাপারে যথেষ্ট সাহায্য পরায়ন এবং সময়ের কাজ সময়ে করে আর আলসেমি করে না। গ্রুপের কেউ কোন কাজ না করলে তা করিয়ে নেয়ার ক্ষমতাও চমৎকার।
সাবেক ঘুমকুমার নাঈম রিদওয়ান আবীর হলো একজন অমায়িক মানুষ। যদিও আমার প্রতিবেশী তাও সে মাঝে মাঝে নিখোঁজ হয়ে যায়, কিন্তু কাজের অ্যাকুরেসি অনেক ভালো। মানুষকে যে কোন ব্যাপারে সারল্যের সাথে নিঃশর্ত সাহায্য করতে করতে তাকে আমার বন্ধুমহলের সবচে 'ইউজড্ পারসন' হতে দেখেছি। আবীর আর নাজিয়া হলো আমার প্রথম সেমিস্টার থেকেই সবচে কাছের ফ্রেন্ড, যাদের সাথে সবসময় এটা-ওটা নিয়ে গ্যাঞ্জাম লেগেই থাকে।
যাই হোক, মূল ঘটনায় আসি। ফাজি লজিকে যখন প্রথম ছয়জনের গ্রুপ ফর্ম হচ্ছিলো তখন আমি, হাসিব আর নাজিয়া একসাথে গ্রুপে থাকার কথা হয়। বাকী তিনজন আগেও পেপার পাবলিস করেছে, তাই তাদের সাথে নিতে চাওয়ায় আমরাও রাজী হয়ে যাই। কোর্সের শুরুতেই এভাবেই কথা ফাইনাল হয়। কোর্স রি-অ্যাডভাইজের পর আরো কয়েকজন কোর্সে অ্যাড হয়, যার মধ্যে আবীরও ছিলো। যাই হোক, যাদের সাথে করার কথা তাদের তিনজনের ক্লোজ ফ্রেন্ড আর আগের পেপারের গ্রুপমেট কোর্সটা রিঅ্যাডভাইজ করে নেওয়ায় আমরা ওদের অনুরোধ করার প্ল্যান করি যাতে তাদের পুরোনো পার্টনারকে নেয়, আমরা আবীরকে নিয়ে আরেকটা গ্রুপ করবো। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই পরিচিত একজন শ্রদ্ধেয় বড় ভাই (যিনি এর আগেও অনেক কোর্স আমাদের সাথে করেছেন) আমার কাছে এসে বললেন, 'জিটু তুমি নাজিয়াকে বা হাসিবকে বাদ দিয়ে ওই গ্রুপে থেকে যাও। বিশেষ করে বলছি, হাসিবকে বাদ দিলে ভালো হয়। ও কি পারে? কিচ্ছু তো করবে না!'
উল্লেখিত বিশিষ্ট বড় ভাইয়ের কথায় আমি আকাশ থেকে পড়লাম। আমাদের সম্পর্কে অবজ্ঞাসূচক ভাল রকমের কথাবার্তা বললেন। যাই হোক, কথা শেষ হওয়ার পর এ ব্যাপারে কিছু না জানিয়ে নিজেরাই গ্রুপ ফর্ম করলাম। কথা দিয়ে তো আর কথা ভঙ্গ করা ঠিক না, আর আমি এদের কথা দিয়ে অন্যগ্রুপেও যেতে পারি না। গ্রুপে ছিলাম আমি, হাসিব, নাজিয়া, আবীর আর সাথে সোনিয়া, ইভা। অবজ্ঞাটা খুব খারাপ লেগেছিলো, তাই বাকীদের বললাম কাজটা সিরিয়াসলি নিতে।
টপিক বেছে নেয়া থেকে শুরু করে প্রাথমিক সব কাজে হাসিব অন্য সবার চেয়ে অনেক বেশি পরিশ্রম করেছে। কাজ করতে গিয়ে সবচে বেশি কষ্ট হয় ডাটা কালেকশনে। বারডেমে টানা পাঁচদিন গিয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই অফিস ওই অফিস ঘুরে কোন লাভ হয়নি। শেষে বাধ্য হয়ে দুদিন সময় হাতে নিয়ে ফেনী গিয়ে ফেনী ডায়বেটিক হাসপাতাল থেকে ডাটা নিয়ে আসতে হয়েছে, সে কাজও প্রায় অসম্ভব ছিলো যদি না ডাক্তার বৈশাখী আপু আশাতিত ভাবে সাহায্য না করতো। সিস্টেম রেডী করতে গিয়ে যে অ্যালগরিদমে সাদা চোখে মনে হয়েছে কাজ হবে না তাও সেই কাজটা করে দেখেছি যাতে আমাদের কাজে কোন ছোটখাটো ভুল না থাকে। এজন্য হাসিব আর আবীর তো রীতিমত আঁটঘাঁট বেঁধে যুদ্ধে নেমে আমাকে পঁচাইছে। একদিন তো ডাটা ইনপুট করে চেক করার সময় কি এক ছোট্ট ভুলের জন্য স্টাডি হলে উত্তেজিত হয়ে টেবিল চাপড়ে হাসিব আর নাজিয়াকে কি কি যেন বলে মেজাজ খারাপ করে দিয়েছি। কাজের গুরুত্ব বুঝে আমার খারাপ ব্যবহারটা বড় করে দেখেনি তাই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আর আবীরকে তো অমানুষিক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে শেষ তিনদিন। সিস্টেমের ম্যাথমেটিক্যাল সব ক্যালকুলেশন বার বার করিয়েছি। একদিন সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুর ১টা পর্যন্ত চেয়ার থেকে উঠতে দেইনি বরং আমি আর হাসিব ওকে ঝাঁড়ি মারতে মারতে নিজেরাই মাঝে দুঘন্টা করে ঘুমিয়ে নিয়েছি।
পুরো ইমপ্লিমেন্টেড সিস্টেম সম্পর্কে পেপার একবার লিখে সেটা পুরোটা বাদ দিয়ে আবার নতুন করে লিখতে হয়েছে। তবে এতকিছুর পরও সবচে ভালো লেগেছে যখন ডঃ রাশেদ স্যার বললো তোমাদের কাজ খুব ভাল হয়েছে। স্যারকে অনেক জ্বালিয়েছি, এটা ওটা নিয়ে উনাকে মেইল করে আর অফিসে গিয়ে হেল্প চেয়ে। স্যারকেও ধন্যবাদ দিয়েও শেষ করা যাবে না তার অবদানের জন্য। অনেক উৎসাহ দিয়েছেন। সবচে অবাক হয়েছি যখন পেপার স্যারকে ফাইনালী জমা দেয়ার দু'সাপ্তাহ না যেতেই স্প্রিংগার কনফারেন্সের জন্য পেপার অ্যাকসেপ্টেড হওয়ায়। আসলে কেমন মানের পেপার সেখানে অ্যাকসেপ্টেড হয় সেটাও জানতাম না, স্যার যদি গুরুত্বটা না বোঝাতো। শ্রদ্ধেয় রাশেদ স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
সত্যি বলতে ভালো মানের পেপার লেখার ইচ্ছে ছিলো শুধু অবজ্ঞার জবাব দেয়ার জন্য। এমন ছোটখাটো রিসার্চ পেপার আসলে অহরহ অনেকেরই পাবলিস হয়। আমরা যে কজন কাজ করেছি হয়তো কেউই অত আহমরি স্টুডেন্ট না, তাই নাক সিঁটকানো টাইপের কথা বলে, খোঁচা মারা কথা শুনেও কিছু বলতে পারিনি। শুধু ফোকাস ধরে রেখে সিরিয়াসলি নিজেদের কাজটুকু করার চেষ্টা করেছি আর তাতে বোধকরি সফল হয়েছি। বোধকরি, এভাবে সব কোর্সে যদি প্রথম থেকে সিরিয়াসলি পড়তাম তাহলে অসাধারণ রেজাল্ট নিয়ে বের হতে পারতাম।
মূলকথা বলি, আমরা ডায়বেটিস নির্ণয় নিয়ে Fuzzy Logic ব্যবহার করে একটা সিস্টেম ইমপ্লিমেন্ট করেছিলাম। টাইটেল Application of Fuzzy Logic for Generating Interpretable Pattern for Diabetes Disease in Bangladesh. চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস বাটা ইউনিভার্সিটির উদ্দ্যোগে অনুষ্ঠিত 5th Computer Science On-line Conference 2016-তে আমাদের পেপারটা অ্যাকসেপ্টেড হয়। আজকে প্রেজেন্টেশন ছিলো। কিছুক্ষণ আগে Springer-এ আমাদের পেপারটা Artificial Intelligence Perspectives in Intelligent Systems সিরিজে পাবলিস হলো (লিংক প্রথম কমেন্টে)। যে কেউ চাইলে ২৯.৯৫ ইউ এস ডলারে কিনে নিতে পারেন!
এটা একটা সামান্য কাজ। এত বড় করে বলার কোন ইচ্ছে ছিলো না, আর আজকের পর কখনোই এই নিয়ে কথা বলবো না। তবে অবজ্ঞার একটা ছোট্ট জবাব দেয়ার ছিলো। ধন্যবাদ সেই মানুষকে যিনি আমাদের অবজ্ঞাসূচক কথাবার্তা বলে উৎসাহ দিয়েছেন। অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ তাকে। এমন লাইফ লেসন কয়জন দিতে পারে? !
No comments:
Post a Comment